মান্দারবাড়িয়া সৈকত: মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের কিছুটা অংশ এখনো অনাবিষ্কৃত বলে মনে করা হয়। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। মান্দারবাড়ি যেতে হলে সাতক্ষীরা দিয়ে সুন্দরবন যেতে হবে।
হীরন পয়েন্ট: হীরন পয়েন্টের (Hiron Point) কাঠের তৈরি সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হরিণ, বানর, গুইসাপ ও কুমির দেখা পাওয়া যায়। এখানেও মাঝে মাঝে বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলে।
দুবলার চর: সুন্দরবন এলাকার মধ্যে ছোট্ট একটি চর হচ্ছে দুবলার চর (Dublar Char)। দুবলার চরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। হিন্দুধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলা এবং শুটকির জন্য বিখ্যাত। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি- এই পাঁচ মাস প্রায় ১০ হাজারের মত জেলে সাময়িক বসতি গড়ে সেখানে। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শুকানোর কাজ।
পুটনী দ্বীপ (Putney Island)
সুন্দরবনে অবস্থিত একটি দ্বীপের নাম পুটনী দ্বীপ বা পুটনী আইল্যান্ড (Putney Island)। স্থানীয় বাসীন্দাদের কাছে এর অন্য নাম দ্বীপচর। একপাশে দিগন্ত জোড়া সমুদ্র আর অন্যপাশে ঘন বনাঞ্চল এরই মাঝ দিয়ে আছে সবুজ ঘাসের প্রান্তর এবং আঁকাবাঁকা খাল। এক কথায় পুটনি আইল্যান্ড অপূর্ব। জোয়ার ভাটার সাথে সাথে পুরো এলাকা একবার ভাসমান থাকে আর আরেকবার দেখা মিলে ধু ধু বালুচর। শেষ বিকেলের সূর্য এখানে অস্ত যায় আড়পাঙ্গাসিয়া নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায়।
হরিণ আর মাছের অভয়ারণ্য হওয়ার কারণে পুটনী দ্বীপে জেলে ও সাধারণ মানুষের তেমন আনাগোনা নেই। তবে আশেপাশের স্থানীয় অনেকেই কাকড়া আহরণ করতে পুটনী আইল্যান্ডে এসে থাকেন। এই দ্বীপের জঙ্গল ও খালে হরিণ এবং মাছের বিচরণ থাকলেও জানা যায় এখানে কোন বাঘের উপদ্রব নেই।
Reviews
There are no reviews yet.