সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ তিন দিন দুই রাত
- 30%

সুন্দরবন ভ্রমণ প্যাকেজ তিন দিন দুই রাত

Original price was: 10,000.00৳ .Current price is: 7,000.00৳ .

সাতক্ষীরা রেঞ্জ হয়ে সুন্দরবন ট্যুর

নির্ধারিত সময় :অক্টোবর থেকে মার্চ মাস।

ট্যুর অপারেটর: মালঞ্জ ইকো ট্যুরিজম সাতক্ষীরা।

কাঠের ট্রলারে করে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ থেকে রোমাঞ্চকর ভ্রমণের সুযোগ। এই ভ্রমণে খুব কাছ থেকে সুন্দরবনকে উপভোগ করার সুযোগ মিলবে। একটি ট্রলারে ১০ থেকে ২০ জনের মতো থাকার সুবিধা রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ট্রলারে থাকবেন বনরক্ষী ও গাইড। সাধারণত পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পট ঘুরে দেখানো হয়। দুই রাত তিন দিনের এই ভ্রমণের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ইচ্ছেমতো ঘোরার সুবিধা।

সুরন্দরবনে ট্যুর প্লান: সাতক্ষীরা মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট ঘাট থেকে প্রথম দিন সরাসরি হিরণপয়েন্ট সেখানে রাত্রিযাপন, ২য় দিন সম্ভব হলে দুবলার চর অথবা পুটনি আইল্যন্ড (সাগর উত্তাল থাকলে বাতিল হবে।), মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, ফরেস্ট অফিসে রাত্রিযাপন, ৩য় দিন পুস্পকাটি ফরেস্ট ক্যাম্প, দোবেকি হয়ে আবার মুন্সিগঞ্জ ঘাটে।

খাবার : তিন বেলা। ২/৩ বার চা ও নাস্তা।

প্রতিদিন সকালের খাবার: পাউরুটি ও মধু, সম্ভব হলে পরাটা বা খিঁচুড়ি সাথে ডিম।

প্রতিদিন দুপুর ও রাতে: ভাত, নদীর মাছ বা মাংস ( হাস অথবা সোনালি মুরগি, সম্ভব হলে গরুর মাংস) সবজি, ডাল, দই বা মিষ্টি, কোমল পানিয়।

(অতিরিক্ত কিছু মেনুতে যুক্ত করতে চাইলে টাকা বাড়বে।)

জন প্রতি :৭০০০টাকা।

১৫ থেকে ২০ জনের জন্য প্যাকেজ ট্যুরের খরচ: ১লাখ ৪৫ হাজার টাকা।  (পাশ পারমিট, ট্রলার, থাকার ব্যবস্থা, খাবার সবসহ)

(সব প্যাকেজের মূল্য নিধারিত নয়। বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ।)

 

 

Compare

মান্দারবাড়িয়া সৈকত: মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের কিছুটা অংশ এখনো অনাবিষ্কৃত বলে মনে করা হয়। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। মান্দারবাড়ি যেতে হলে সাতক্ষীরা দিয়ে সুন্দরবন যেতে হবে।

হীরন পয়েন্ট: হীরন পয়েন্টের (Hiron Point) কাঠের তৈরি সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হরিণ, বানর, গুইসাপ ও কুমির দেখা পাওয়া যায়। এখানেও মাঝে মাঝে বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলে।

দুবলার চর: সুন্দরবন এলাকার মধ্যে ছোট্ট একটি চর হচ্ছে দুবলার চর (Dublar Char)। দুবলার চরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। হিন্দুধর্মের পূণ্যস্নান, রাসমেলা এবং শুটকির জন্য বিখ্যাত। অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি- এই পাঁচ মাস প্রায় ১০ হাজারের মত জেলে সাময়িক বসতি গড়ে সেখানে। মাছ ধরার সঙ্গে চলে শুঁটকি শুকানোর কাজ।

পুটনী দ্বীপ (Putney Island)

সুন্দরবনে অবস্থিত একটি দ্বীপের নাম পুটনী দ্বীপ বা পুটনী আইল্যান্ড (Putney Island)। স্থানীয় বাসীন্দাদের কাছে এর অন্য নাম দ্বীপচর। একপাশে দিগন্ত জোড়া সমুদ্র আর অন্যপাশে ঘন বনাঞ্চল এরই মাঝ দিয়ে আছে সবুজ ঘাসের প্রান্তর এবং আঁকাবাঁকা খাল। এক কথায় পুটনি আইল্যান্ড অপূর্ব। জোয়ার ভাটার সাথে সাথে পুরো এলাকা একবার ভাসমান থাকে আর আরেকবার দেখা মিলে ধু ধু বালুচর। শেষ বিকেলের সূর্য এখানে অস্ত যায় আড়পাঙ্গাসিয়া নদী এবং বঙ্গোপসাগরের মোহনায়।
হরিণ আর মাছের অভয়ারণ্য হওয়ার কারণে পুটনী দ্বীপে জেলে ও সাধারণ মানুষের তেমন আনাগোনা নেই। তবে আশেপাশের স্থানীয় অনেকেই কাকড়া আহরণ করতে পুটনী আইল্যান্ডে এসে থাকেন। এই দ্বীপের জঙ্গল ও খালে হরিণ এবং মাছের বিচরণ থাকলেও জানা যায় এখানে কোন বাঘের উপদ্রব নেই।

X